প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ২৩:২
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিদের বিবৃতিতে সরকার বিচলিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। গোটা বিষয়টি হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে একজনকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য অব্যাহতভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। অতীতে কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক মর্যাদা শুধু যে তার গুণের কারণে হয়েছে সেটি নয়, এর পেছনে অনেক বিনিয়োগ আছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীন। বিচার বিভাগই সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিচার চলবে। এটি নিয়ে বিচলিত বা চিন্তিত নই।’
ড. ইউনূস দেশের বিরুদ্ধে অর্থ ব্যয় করছেন দাবি করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বা তার লোকজন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখনো অর্থ ব্যয় করে যাচ্ছেন– এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বিচার বিভাগ স্বাধীন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে (মামলায়) সরকারের প্রভাব অতীতে ছিল না এবং আগামীতেও থাকবে না। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সরকার বা দূতাবাসগুলো কথা বলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি ততটুকু তুলে ধরব। একটি বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সরকার বা দূতাবাস বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন করে কিছু বলার বা ব্যাখ্যা করার কিছু নেই। কারণ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’
একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দুই পাতা বিজ্ঞাপন দিতে অন্তত দুই মিলিয়ন ডলার (২০ কোটি টাকার বেশি) লাগে, সে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত এবং আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বের ১৬০ ব্যক্তিত্ব। ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের অগ্রগণ্য ব্যক্তিরা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) স্বাক্ষরকারীদের একজন, রেজাল্টস অ্যান্ড সিভিক কারেজের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ডেলি-হ্যারিস এক বিজ্ঞপ্তিতে খোলা চিঠিটি প্রকাশ করেন।