প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১:২৭
উত্তরাঞ্চলের খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁ। এ জেলা থেকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০টি ধান ও চলের ট্রাক ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। সড়কে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মখিন হতে হয়। আর সড়কে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধে পুলিশের সাথে জেলা চাউল কল মালিক সমিতি ও ধান-চাউল আড়তদার সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো. গাজিউর রহমান, মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, নওগাঁ জেলা চাল কল মালিক সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মো. ফরহাদ হোসেন, চাউল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন, সাধারন সম্পাদক মো, খলিলুর রহমান’সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার ও ধান চাল ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা।
ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা বলেন, নওগাঁ জেলায় ধান এবং চালের জন্য সারাদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে। জেলা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার মন ধান এবং চাল পাঠানো হচ্ছে। ধান এবং চাল যাতে নির্বিঘেœ নিরাপদে নওগাঁ থেকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সহজে পরিবহন করার ক্ষেত্রে পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক সবাইকে তাদের এ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পরিবহনে সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রয়োজনে রাত্রিকালীন এ পণ্যগুলো পরিবহন করার সময় পুলিশ স্কটেরও ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি রাত্রিকালে ধান এবং চাল বহনকারী ট্রাক-পিকআপ অথবা অন্য যানবাহনগুলো যেনো কোন রকমের অসুবিধা তথা ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজির বা অন্যকোন হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে। এ সময় ধান চাল পরিবহনে ব্যবহৃত পরিবহনগুলোর চালক এবং হেলপারদের সঠিক নাম ঠিকানা ও গাড়ীর সঠিক নম্বর সংগ্রহ করার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ প্রদান করা হয়।