প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২২, ০:৩০
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলতি মৌসুমে সরকারি ভাবে আমন চাল সংগ্রহে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চাল সংগ্রহের জন্য খাদ্য বিভাগের সাথে মিল-চাতাল মালিকদের চাল জমা দেওয়ার চুক্তিবদ্ধ হওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেলেও মিল-চাতাল মালিকদের কেউই চুক্তি করেননি। এতে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় মোট ১৩৩টি মিল-চাতাল রয়েছে। চলতি মৌসুমে এসব মিল-চাতালের মাধ্যমে ভূরুঙ্গামারী থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে ৩ হাজার ৬৫১ দশমিক ৯৯ মেঃ টন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খাদ্য গুদামে চাল দেয়ার জন্য খাদ্য বিভাগের সাথে মিল-চাতাল মালিকদের চুক্তিবদ্ধ হওয়ার নির্ধারিত সময় শেষ হয় গত ২৬ নভেম্বর। নির্ধারিত সময় শেষ হলেও মিল-চাতাল মালিকদের কেউই চুক্তিবদ্ধ হয়নি।
ভূরুঙ্গামারী মিল-চাতাল মালিক সমিতির সম্পাদক ও আন্ধারীঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মন্ডল বলেন, বর্তমানে বাজারে ধানের সরবরাহ কম এবং দাম বেশি। চড়া দামে ধান কিনে চাল করে গুদামে সরবরাহ করা হলে লোকসান হবে। এছাড়া এবছর মোট বিলের উপর দুই শতাংশ উৎস কর ধার্য্য করা হয়েছে। এজন্য মিল-চাতাল মালিকরা গুদামে চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল আহাদ বলেন, মিল-চাতাল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় গুদামে চাল দিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন না। সরকারি ভাবে তাদের সাথে সমঝোতার চেষ্টা চলমান রয়েছে।