প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২:৫৬
কুমিল্লা’য় ১৭ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণে সহায়তা করায় র্যাব-১৫ কক্সবাজার এর হাতে আটক হন কুমিল্লা উত্তর জেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউছার অনিক(৩৫)। র্যাব-১৫ এর সূত্র মতে জানা যায়, আবু কাউছার অনিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাছলিমা আক্তার (ছদ্মনাম) কিশোরী বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং:৩৭/৭৮৮, জিআর:৭৮৮/২০২২।
উক্ত মামলায় বাদী ৪ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এফআইআর ভূক্ত আসামীরা হলেন,- কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহলপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র আরব আলী(২৭), চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র জিলানী(৩৮), দেবীদ্বার উপজেলার নূরপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র আবু কাউসার অনিক (৩৫) এবং একই গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া(৪০)।
জানা যায়, ১নং আসামী আরব আলী(২৭) ও ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিককে কয়েকদিন পূর্বে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অধিনে আমতলী পুলিশ ফাড়িতে আটক করা হয়েছিল। তখন ১নং আসামী আরব আলী আটক থাকলেও ৩ নং আসামী আবু কাউছার অনিক ছাড়া পেয়ে যায়। ওই ঘটনার পর থেকে ২নং জিলানী, ৩নং আবু কাউছার অনিক ও ৪নং আসামী শাহজাহান মিয়া কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকেন।
তবে র্যাব-১৫ এর হাত থেকে রক্ষা পাননি ধর্ষণে সহযোগিতাকারী ৩নং আসামী আবু কাউছার অনিক। ২৪শে সেপেটম্বর সকাল থেকে র্যাবের অভিযানিক দল এজাহারনামীয় ৩নং আসামী আবু কাউছারকে আটকের জন্য তৎপর ছিলেন। কক্সবাজার ক্যাম্পের গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিক্তে দুপুর ১২টায় র্যাব-১৫ সিপিএসসি কক্সবাজার কলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভি আইপি আবাসিক হোটেল সোনার বাংলা হতে আবু কাউছার অনিককে আটক করা হয়। এসময় অনিক তাহার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার চট্টমেট্টো গ- ১১-৯৩১৪’তে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।
এবিষয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক ল্যাফটেন্যান্ট কর্ণেল খাইরুল আলম রাত সোয়া সাতটায় এ প্রতিনিধিকে মুঠো ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিস্তারিত জানতে অপেক্ষা করতে হবে। আমাদের কিছু কাজ আছে, কাজগুলো গুছিয়ে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।
