বরিশালে সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ, মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে চলাচল

বরিশাল সদর উপজেলার ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের চরআইচা ৬নং ওয়ার্ড পুলের হাটের শাখা সড়কটি এখন মরন ফাঁেদ পরিনত হয়েছে। দীর্ঘ দেড় বছরেও সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। চরআইচা গ্রামের সঙ্গে বরিশাল সদরসহ দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র ব্যস্ততম সড়কটির বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ঐ গ্রামের হাজারো মানুষ। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেহাল দশার এই সড়কটিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের  দৃষ্টি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হলেও শুরু হয়নি সংস্কারকাজ। ফলে প্রতিনিয়ত দুঘর্টনায় পড়ছেন পথচারী ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। 

সরেজমিনে চরকাউয়া ইউনিয়নের চরআইচা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে সড়কের মাঝখান দিয়ে পুরোটা ভেঙে গেছে। বর্ষা মৌসুমে এ সড়কটি দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গ্রামবাসী। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের বরিশাল শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হলো এটি। স্থানীয় বাসিন্দা নয়ন বলেন, প্রায় ৬ বছর পূর্বে পুলের হাট থেকে মৃধা বাড়ি পর্যন্ত শাখা সড়কের কার্পেটিং কাজ করা হয়। 

তবে কাজ শেষ হওয়ার এক বছরের মাথায় শাখা সড়টির বিভিন্ন স্থানের পিচ উঠে অসংখ্য স্থানে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। খানাখন্দে ভরা এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করে থাকে। চরআইচা থেকে মৃধা বাড়ি শাখা সড়কে যেতে সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে দুই স্থানে তৈরি হয়েছে বড় বড় দুইটি গর্ত। যা প্রায় দেড় বছর ধরে রয়েছে সড়কের মাঝে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ফারুক বলেন, সড়কের মাঝে গর্ত দুটি এখন গ্রামবাসীর গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। 

তিনিসহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, এ সড়কটি দিয়ে এ্যা¤ু^লেন্স, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ ছোট ধরনের কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছেনা। অথচ রোগী ও জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত শহরে যাওয়ার একমাত্র সড়কটি এটি। আর বৃষ্টিতে ভোগান্তি ওঠে চরমে। রাস্তা সংস্কারের বিষয় নিয়ে স্থায়ীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য লিটন মোল্লাকে একাধিকবার বললেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। 

সড়কের মাঝে বড়  ভাঙন রয়েছে স্বীকার করে ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন মোল্লা বলেন, সড়কের মাঝে যে ভাঙ্গন রয়েছে সেটি কার্পেটিং এর কাজ করার জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজটি আজ নয় কাল বলে নয়ছয় করে যাচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সড়কটি সংস্কার করা হবে।