প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২২, ০:৮
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের একটি বাড়িতে দাবি অনুযায়ী টাকা না দেয়ায় নিজ গায়ে আগুন দিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি। এই অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের। কিন্তু শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকালে থানায় এসে উল্টো ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করেছেন তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি। পুলিশ এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মধ্যপাড়া রাজ্জাক পুলিশের বাড়িতে যায় তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি ও সোহাগি। ওই বাড়ির জহিরুল ইসলাম নয়নের শিশুর জন্ম উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল। তৃতীয় লিঙ্গের দুইজন তাদের বাড়িতে গিয়ে টাকা দাবি করে।
চুমকি অভিযোগ করে বলেন, মিষ্টি খাওয়ার জন্য ৫০০টাকা দাবি করলে তারা তিনশত টাকা দেয়। এ সময় আরও দুইশত টাকা দাবি করলে টাকা না দিয়ে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তিনি পুকুরে পড়ে আগুন নিভান। আহত চুমকি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার (১৮ মার্চ) থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত পরিবার। তারা বলেন, গত শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে তাদের পরিবারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর বুধবার (১৬ মার্চ) তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি ও তার সহযোগী সোহাগি তাদের বাড়িতে গিয়ে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় তাদের ৪০০ টাকা দেয়া হয়, কিন্তু তারা দুইজন দাবির ৫ হাজার টাকার জন্য বিবাধে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি রান্না ঘরের চুলা থেকে জ্বলন্ত লাকড়ি এনে ঘরের লোকজনকে ভয় দেখায় যে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দিবে। এ সময় অসাবধানতা বসত তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে বাড়ির লোকজন এসে তাদের ১৫০০ টাকা দিলে চলে যায় তারা।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবা জহিরুল ইসলাম, তার দুই ফুফু আয়েশা বেগম ও বিবি রহিমা বেগমকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনায় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।