
প্রকাশ: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০:৫৩

বরিশালের মেয়ে সেই আসপিয়া ইসলামের বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনষ্টেবল পদে চাকুরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পর এবার তার স্থায়ী ঠিকানাও নিশ্চিত করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠানে বসে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ জমির দলিল ও নির্মিত ঘরের চাবি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আসপিয়ার মা ঝর্না বেগমের হাতে তুলে দিলেন বরিশাল- ৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) পংকজ দেবনাথ, বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরজ। এসময় উপস্থিত ছিলেন হিজলার উপজেলা চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন ঢালীসহ অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তারাবৃন্দরা।
নতুন ঘরের চাবি পেয়ে আনন্দে আপ্লুত আসপিয়ার মা ঝর্না বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেনের পক্ষে হিজলা মো. মিজান কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলামকে পুলিশ কনষ্টবল পদে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন। আসপিয়া বর্তমানে রংপুরে ৬ মাসের প্রশিক্ষণ করছেন।
উল্লেখ্য, কনষ্টবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বরিশাল জেলায় মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছিলেন বরিশালের হিজলা উপজেলার মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে কলেজছাত্রী আসপিয়া ইসলাম। তাকে চুড়ান্ত নিয়োগপত্র দেয়ার আগে পুলিশী তদন্তে জানা যায়, তারা হিজলা উপজেলার ভাড়াটিয়া বাসিন্দা। তাদের স্থায়ী নিবাস ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলায়। তবে আসপিয়ার জন্ম ও লেখপড়া সবকিছুই হিজলাতে। চাকুরী আবেদনপত্রে তার স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছিল হিজলা উপজেলা।

স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে আইনী জটিলতায় তার নিয়োগপত্র আটকে যায়। আসপিয়া পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করলে তিনি সহানুভূতি দেখালেও আইনের কারনে নিয়োগপত্র দিতে পারছেন না বলে জানিয়ে দেন।
এনিয়ে গত বিভিন্ন সংবাদপত্রে বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়েন। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্দেশ দেয়া হয় স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করতে হিজলায় খাসজমি থেকে আসপিয়ার পরিবারকে জমি ও ঘর বরাদ্ধ দেয়ার জন্য। তবে আসপিয়ার পুলিশে চাকুরী ও নতুন ঘরে পেয়েছে শুনে গ্রামবাসীদের মধ্যেও অনন্দর জোয়ার বইছে।