প্রকাশ: ৭ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:৩৪
বরিশালের বাবুগঞ্জের খাদ্যগুদামে সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রয়ের উদ্দিশ্যে ২হাজার কেজি চাল বাজারে প্রচলিত মিনিকেট চালের বস্তায় প্যাকেটজাত অবস্থায় হাতে নাতে ধরা পড়েছে। ২৫ কেজির বস্তায় ভরা ৮শত বস্তা জব্দ দেখিয়ে ৩নং গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া ৫১০টি সরকারি চালের খালি বস্তা ও ১ হাজারটি বাজারের সেরা মিনিকেট চালের জোড়া কবুতর, ডলফিন ব্রান্ডের চালের খালি বস্তা থানার জব্দ তালিকায় দেখানো হয়েছে। ৭ জানুয়ারি এ ঘটনায় বাবুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন বাদী হয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফরিদা খাতুন (৩২)সহ জড়িত ৫জনকে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-০২।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী রসুল জমাদ্দার (৬৫), মো.বাচ্চু (৪৫), মো. সেন্টু খান (৪২) ও দিনমজুর মোফাজ্জেল খান (৬৩)। আসামীদের মধ্যে ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন ও মোফাজ্জেল খানকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, খাদ্য গুদামের সরকারি চাল কালো বাজারে বিক্রির প্রস্তুতি চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ৬জানুয়ারি বিকালে উপজেলা প্রশাসন ও বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আমিনুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম, ওসি মাহবুবুর রহমান, ওসি তদন্ত অলিউল ইসলাম, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিএম শহিদুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন প্রমুখ। ঘটনার সত্যতা পেয়ে উর্দ্ধতনদের সিদ্ধান্তে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন বাবুগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আসামীরা একে অপরের সহযোগীতায় উপজেলা খাদ্য গুদামের ৩নম্বর গোডাউনে সরকারি চাল নির্ধারিত মূল্য থেকে বেশি দামে বিক্রির উদ্দিশ্যে বেসরকারি বস্তায় মোড়কজাত করে বাহিরে পাচারের চেষ্টা চালিয়েছে।
বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি চাল কালো বাজারে বিক্রির চেষ্টার অপরাধে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামীসহ ২জনকে গ্রেফতার এবং জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।