
দাফনের সাড়ে চার মাস পরেও কবরে অক্ষত নারীর মরদেহ !

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০:২০

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দাফনের সাড়ে চার মাস পর কবর থেকে অক্ষত অবস্থায় এক নারীর লাশ বেরিয়ে এসেছে। বুধবার সকালে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের উত্তর ধলডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর পারিবারিক কবরস্থাানে অক্ষত লাশটির একাংশ দেখতে পান স্থাানীয়রা।
জানা যায়, ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমবাজ আলীর স্ত্রী ৪ মাস ১৬ দিন আগে মারা যান। তাকে পারিবারিক কবরস্থাানে দাফন করা হয়। সম্প্রতি ইউনিয়নটির কালজানি নদীর ভাঙ্গনে উক্ত কবরের একপাশ ধসে গিয়ে লাশের একাংশ বেড়িয়ে এলে এলাকার মানুষ অক্ষত অবস্থাায় লাশটি দেখতে পায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লাশটি একনজর দেখতে উৎসুক জনতার ঢল নামে। পরে লাশটিকে পুনরায় দাফন করা হয়।

দাফনের কাজে নিয়োজিত লুৎফর রহমান জানান, লাশের গায়ে কোন দূর্গন্ধ ছিল না। কাফনের কাপড়েও পঁচন ধরেনি। আগের কাফনেই তাকে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। এ রকম অক্ষত লাশ দেখে তিনি বিস্মিত। শিলখুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউসুফ বলেন, দাফনের পর দীর্ঘদিন লাশ অক্ষত থাকার অলৌকিক ঘটনার কথা লোকমুখে শুনেছি। আজ নিজে এটার সাক্ষী হয়ে গেলাম। শুনেছি ওই নারী অত্যন্ত ধার্মিক, পরহেজগার ও দানশীল মহিলা ছিলেন। তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন। তার কাছে সাহায্য চেয়ে কেউ কখনও নিরাশ হয়নি। তিনি নিশ্চিত করেছেন ওই নারীর নাম রেনুকা বেগম।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন, এমনটা হওয়া বিজ্ঞান সম্মত নয়। সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়া দাফনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রাকৃতিক নিয়মেই লাশ পঁচন ধরবে।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি বুধবার দুপুরের পর পুনরায় অপর একটি পারিবারিক কবরস্থাানে দাফন করা হয়েছে।

