প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০:৪৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় রিমন বিশ্বাস (৪৫) নামের আরেক ব্যাক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার জাঙ্গালিয়া মুসল্লি পাড়ার খোকন বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মুদি দোকান ব্যবসায়ী। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৬টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সাথে থাকা মৃত ব্যক্তির চাচাতো ভাই মনিরুল ইসলাম জানান, ভাই এনাম মেডিকেল হাসপাতালের গাড়ি চালক ছিলেন। করোনায় চাকরি ছেড়ে নিজ এলাকায় মুদি দোকান দেয়। গত শুক্রবার সে আমাকে সাথে নিয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে একজনের সাথে দেখা করতে যান। সেখান থেকে দেখা করে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। পথিমধ্যে রাত ৩টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌছে গাড়ির অপেক্ষা করতে থাকি। গাড়ির জন্য দেরি হওয়াতে আমরা সাগড় বোডিং এর সামনে থাকি। এমন সময়ে ভাই আমাকে বসিয়ে রেখে কোথায় যেন যায়। সেখান থেকে ৩০মিনিট পর এসে আমাকে বসতে বলে আবার চলে যায়। এরপর আরো প্রায় ৩০মিনিট পর আমার কাছে এসে বলেন, আমার ভালো লাগছে না। এই কথা বলেই মাটিতে লুটিয়ে পরেন। দ্রুততার সাথে আমি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ইসিজি করার কথা বলেন কিন্তু তার কিছুক্ষনের মধ্যেই সে মারা যান।
এদিকে মৃত্যুর খবর শুনে সকালেই তার বাবা, ভাইসহ স্ত্রী গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং মুচলেকা দিয়ে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যেতে চান। তবে পুলিশ ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করেন নি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মিনহাজ উদ্দিন জানান, গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল থেকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। এবং তিনি কিভাবে মারা গিয়েছে তা নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান। তবে স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর যৌনকর্মী জোসনার ঘরে দেলোয়ার হোসেন বাবু নামের এক ব্যক্তির মাত্রাতিরিক্ত যৌনবর্ধক ঔষুধ খেয়ে তার মৃত্যু হয়।