প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ০:২৬
সুমন সরদার দীর্ঘ ১১ বছর ধরে উদ্যোক্তা হিসেবে সেবা মূলক কাজ করছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে। উদ্যোক্তা হিসেবে চুক্তিপত্রের মেয়াদও রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনো দোষ বা অপরাধও করেননি। শুধুমাত্র অর্থের লোভে বিনা কারনে উদ্যোক্তা পদ থেকে সুমন সরদার কে সরিয়ে নিয়োগপত্র ছাড়াই মো. আবুল বসার নামের একজনকে ওই পদে বসানো হয়েছে। এই অন্যায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মাধবপাশা ইউনিয়নের সুমন সরদার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া গত ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে। নিয়োগের পর থেকে সফলতার সঙ্গে উদ্যোক্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অালহাজ্ব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়ম অনুসারে গত ১১ জুলাই ২০২১ তারিখে ওই উদ্যোক্তা সুমন সরদারের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তিপত্রও সম্পন্ন করেন। চুক্তিপত্রের মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও কোনো অপরাধ ছাড়া মোঃ সুমন সরদার কে উদ্যোক্তা পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার ঘটনায় এলাকাবাসির মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সমালোচনা হচ্ছে চেয়ারম্যানের ওই কর্মকান্ডে।
উদ্যোক্তা সুমন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, 'কিছুদিন আগে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার কক্ষের চাবি চেয়ে নেন চেয়ারম্যান এবং বলেন তোমার আর অফিসে আসার দরকার নেই। তোমাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে আমার বাড়ির কেয়ারটেকার আবুল বসার নামের একজন ওই দায়িত্ব পালন করবে। আমি জানতে পেরেছি যাকে ওই পদে বসানো হয়েছে তার কোন অভিজ্ঞতা নেই কম্পিউটারে কাজ করার।
তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোক্তা নিয়োগ দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। উদ্যোক্ত নিয়োগ দিবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।'
উল্লেখ্য যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এবং তথ্য সেবা জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য সরকার সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার চালু করে। এখান থেকে সাধারণ মানুষ জন্ম ও মৃত্যু সনদপত্র, জমির পর্চা, কম্পিউটার প্রশিক্ষনসহ অনলাইনের যাবতীয় সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ওই সেবা প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যাস সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ওই উদ্যোক্তার বেশ কিছু অনিয়ম রয়েছে। জন্ম নিবন্ধন দেয়ার সময় সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ কারনে তাকে সরিয়ে অন্যজনকে বসানো হয়েছে।' অনিয়মের অভিযোগে কোনো কারন দর্শানো নোটিশ বা সতর্ক নোটিশ দিয়েছেন-এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'না, তা করা হয়নি। তার প্রয়োজনও নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমীনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে। আর চেয়ারম্যান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা নিয়োগ দিতে পারেন না।