প্রকাশ: ২০ জুন ২০২১, ১:৫০
মুজিব বর্ষে ২য় ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৭৪৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার ঘর পেয়েছেন।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে বাসগৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপকারভোগীদের হাতে বাসগৃহের কবুলিয়ত দলিল তুলে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক আতাউল গণির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. শাহবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ২৫০টি, ধনবাড়ীতে ৭০টি, গোপালপুরে ৫৫টি, মধুপুরে ১৫০টি, ঘাটাইলে ৮০টি, কালিহাতীতে ৮টি, ভূঞাপুরে ১০ জন, দেলদুয়ারে ৫টি, নাগরপুরে ৪০টি, মির্জাপুরে ৫০টি, বাসাইলে ১২টি এবং সখীপুর উপজেলায় ৭৪৮টি ঘর দেয়া হয়েছে।
ঘর পাওয়া টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দ্যাইনা ইউনিয়নের বাউশা গ্রামের রেনু বেগম বলেন, আমার কোন জমি এবং ঘর নেই। আমার স্বামী মারা যাওয়ায় দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে বিপাকে পড়েছিলাম। আজ প্রধানমন্ত্রীর কারণে ঘর পেয়েছি। এতে আমি খুবই খুশি এবং আনন্দিত।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি, তিনি যেনো এবাবে মানুষদের উপকার করতে পারেন। তার দীর্ঘজীবি কামনা করছি।
জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, মুজিব বর্ষে টাঙ্গাইল জেলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনার প্রচেষ্টায় সকল গৃহহীনদের ঘর দেয়া হচ্ছে। ২য় ধাপে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৭৪৮টি পরিবারের মধ্যে ঘর দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরো ৩৮২টি ঘরের নিমার্ণ শেষ পর্যায়ে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই ঘরগুলো সম্পন্ন হবে। যদি কোন গৃহহীন ঘর না পায় তাহলে পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে ঘর দেয়া হবে।