প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৩
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জামাই আব্দুল্লাহ তার শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীকে নিতে গেলে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল আলমকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নুরুল আলম ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত নুরুল আলম হ্নীলা ইউনিয়নের উলুচামরী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহের কারণে আব্দুল্লাহ ও তার স্ত্রী পারস্পরিক দুরত্বে ছিলেন। স্ত্রীর অবস্থান ছিল তার বাপের বাড়িতে। সোমবার রাতে জামাই স্ত্রীকে আনতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই অভিভাবকরা মেয়েকে ছাড়া দিতে অস্বীকার করেন। এর ফলে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ শ্বশুরকে ছুরিকাঘাত করতে উদ্যত হন। তখন স্ত্রীর বড় ভাই নুরুল আলম পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসলে তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
আহত অবস্থায় দ্রুত নুরুল আলমকে স্থানীয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়, তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনার পরৎ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়দের মতে, পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল, যা এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্যতম কারণ। পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকাবাসী গভীর শোক ও আতঙ্কে রয়েছেন। এ ঘটনায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।
অপরদিকে, পুলিশি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে যাতে দ্রুত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা যায় এবং পুনরায় এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে বিষয়েও সজাগ থাকার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে শোক ও উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে সকল প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে।
এ ঘটনার বিচারের মাধ্যমে পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শান্তি ফিরে আনার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দাম্পত্য ও পারিবারিক কলহ যাতে সামাজিক বিপর্যয়ে রূপ না নেয় তার জন্য সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে।
মেটা কীওয়ার্ড ও হ্যাশট্যাগ চাইলে বলবেন।