প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ২২:৩০
আশাশুনিতে জলাবদ্ধতার কারনে কবর না খুঁড়ে ২ জনের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার এ হৃদয় বিদারক কবর দেওয়া হয়।
প্রতাপনগর গ্রামের শহিদুল ইসলাম গাজীর বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান (৩৩) নিজ কর্মস্থল কলারোয়ায় স্ট্রোক করে ইন্তেকাল করেন। একই দিন মাত্র ৫ ঘন্টার ব্যবধানে একই গ্রামের ডা: আক্তারুজ্জামানের পিতা হাজী আরশাদ আলী সানা (৭৮) বার্ধক্য জনিত কারনে নিজ বাস ভাবনে মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলায়হি রাজেউন)।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে গোটা ইউনিয়ন প্লাবিত। এমনকি এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তা ছাড়া এক খন্ড ভূমি পানি মুক্ত নয়। তখন জানাজা নামায তো দূরের কথা কবর দেওয়ার মত জায়গাও নাই। পানিতে দাড়িয়েই সমাপ্ত হয়েছে মৃত ব্যক্তিদ্বয়ের নামাজে জানাজা। কবর না খুঁড়ে সম্পূর্ণ পানির নিচ থেকে ইট দিয়ে ভিটি তৈরি করে তার চারপাশ দিয়ে দেয়াল গেথে অভিনব কায়দায় তাদের দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
ডা: আক্তারুজ্জামান বলেন, দুনিয়া থেকে মানুষের প্রস্থান স্বজনদের হৃদয়কে ব্যাথিত করে। তবে আমাদের ব্যাথার মাত্রাটা বহুগুণ বেশি। প্লাবনের কারণে আজ বাবাকে মাটিতে দাফন করতে পারছি না। এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে?
কয়েকদিন আগে কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান মাওঃ আবুল কাশেম ইন্তেকাল করেন। তাকেও নিজ মাতৃভূমি কুড়িকাহুনিয়াতে দাফন করা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা ব্যথিত হৃদয়ে লাশ কাধেঁ নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শ্যামনগরে নিয়ে তাকে দাফন করেন।