প্রকাশ: ৩০ মে ২০২১, ১৭:৫৯
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মা নদী ও অন্তরমোড় এলাকায় রবিবার (৩০ মে) অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম।
অভিযানে ৪ টি ড্রেজার মেশিন ও বিপুল সংখ্যক পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযানে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের একটি দল অংশ নেয়।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একটি বালু খেকো চক্র। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরেও কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী মরা পদ্মা সহ উপজেলার নদীর বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এবং নদী তীরবর্তী এলাকার ফসলি জমিতে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত খুঁড়ে বালু উত্তোলন কাজ চালিয়ে আসছিল।
এতে করে নদীর তীর ধ্বংসের পাশাপাশি ড্রেজারের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল আশপাশের গ্রামের মানুষ।তাছাড়া বালু উত্তোলন ও ট্রাকে পরিবহনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি এলাকার সড়কগুলো নষ্ট হচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অবৈধ বালু উত্তোলনবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৪টি স্যালো ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি ড্রেজার মেশিন ও বিপুল সংখ্যক পাইপ ধ্বংস করে প্রশাসন। তবে আগেই খবর পেয়ে বালু উত্তোলনে জড়িতরা সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ড্রেজার মেশিন মালিক আঃ কাদের ফকির (৩৫) কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনসহ পরিবেশের মারাত্বক ক্ষতি হচ্ছিল। বালুমহাল আইনে বালু উত্তোলনকারীদের জরিমানাসহ ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলার কোথাও কোন প্রকার অবৈধ ড্রেজার ও ডেকু দিয়ে মাটি কাটতে পারবে না। অবৈধভাবে নদী থেকে বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১