প্রকাশ: ১৭ মে ২০২১, ১৯:২০
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর মাফিয়া আক্তার টফির বাড়ীর ভাঙ্গচুর এর পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগে পৌরসভার নব্য কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা (৩৪) কে সোমবার (১৭ মে) দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
সে গোয়ালন্দ পৌরসভার নছর উদ্দিন সরদার পাড়ার চেনুদ্দিন ওরফে ছোদে মোল্লার ছেলে।
তার বিরুদ্ধে গতকাল রোববার (১৬ মে) পৌরসভার সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নম্বর ওয়ার্ড নারী কাউন্সিলর মাফিয়া আক্তার টফির বাড়ির ফটক, জানালা ভাঙচুর এবং পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠে। রোববার দিবাগত মধ্যরাতে সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাফিয়া আক্তার টফির ছেলে এস এম মিনার মাহফুজ বাদী হয়ে ৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লাসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারকৃত মামলায় উল্লেখ করে, পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন মোল্লার পরিবার ও তাদের পরিবারের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জের ধরে রোববার আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে শাহিন মোল্লার নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজন ও অনুসারীরা মিলে মাফিয়া আক্তার টফির বাড়িতে হানা দেয়।
এসময় মিনারের নাম ধরে গালাগালি করতে থাকে। ঘর থেকে মিনার বের হয়ে তাদেরকে গালাগালি করতে বারণ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাহিন মোল্লা ও তাদের লোকজনের হাতে থাকা লোহার রড, হকিষ্টিক, কাঠের বাটাম দিয়ে মিনারকে মারধর শুরু করে। মিনারের চিৎকারে তার মা মাফিয়া আক্তার এগিয়ে আসলে তাকে এবং পরিবারের অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে।
এতে সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাফিয়া আক্তার (৪৮), ছেলে মিনার মাহফুজ (২৯), তার চাচা নুরুল ইসলাম (৪৮), ফারুক হোসেন (৩৫), চাচাতো ভাই সোহান (২৫), মো. আকাশ (২২) আহত হয়। গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে শাহিন ও তার লোকজন ঐ স্থান থেকে সড়ে পড়ে।
পরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মধ্য রাতে মিনার বাদী হয়ে কাউন্সিলর শাহিন মোল্লাকে প্রধান আসামি এবং তার বাবা চেনুদ্দিন মোল্লা ওরফে ছোদে মোল্লা, শাহিনের ভাই শরিফ মোল্লা, রফিক মোল্লা সহ মোট ১০ জনকে চিহিৃত এবং অজ্ঞাত ৫-৬জনের নাম উল্লেখ করে করে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাফিয়া আক্তার টফির বাড়ি প্রবেশ করে ভাঙচুরসহ পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগে রোববার দিবাগত রাতে একটি মামলা হয়।
মামলার পর পুলিশ সোমবার দুপুরের দিকে গোয়ালন্দ পৌর জামতলা থেকে মামলার প্রধান আসামী শাহিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে তাকে বিঙ্গ আদালতে প্রেরন করা হয়। তিনি আরো জানান, শাহিন মোল্লার বিরুদ্ধে থানায় আরো তিনটি মামলা রয়েছে।