প্রকাশ: ৯ মে ২০২১, ১৮:১৭
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারি নানা বিধিনিষেধ থাকলেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত। বিজিবি মোতায়েনের পরও রোববার (০৯ মে) সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়ায় ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘটে বাড়িফেরা মানুষদের ঢল বেড়েই চলেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিজিবির বাধা সত্ত্বেও জোর করে ফেরিতে উঠে যাত্রীরা। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া ঘাট থেকে সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে ফেরি শাহপরাণ। এর আগে ১১টি অ্যাম্বুলেন্স ও কিছু যাত্রী ছেড়ে আসে ফেরি ফরিদপুর।
বাংলাবাজার ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে অন্য দুটি ফেরি আবার শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্ত বিষয়টি সম্পুর্ণ অস্বীকার করেন বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন আহমেদ।
অপর দিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল। সকাল থেকেই অটোরিকশা মাইক্রোবাস প্রাইভেট কার,সাইকেল ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা যোগে ঘরমুখো লোকজন শিমুলিয়া ফেরিঘাটে এসে জড়ো হয় ফেরি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শত শত মানুষ হুরমুড় করে দৌড় দিয়ে ফেরিতে উঠে ।
লাশবাহী এবং জরুরী পচনশীল পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য এই ফেরি চালু রাখা হলেও যাত্রী কারণে যানবাহন ফেরিতে উঠতে পারেনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের অবাধে যাতায়াত ঠেকাতে শিমুলিয়া ঘাটে রোববার সকাল থেকে টহল দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে বিজিবি সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে যাত্রীরা ঢুকে পড়ছেন ঘাট এলাকায়।
এখনো ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো যাত্রী। যাত্রীদের পারাপার ঠেকাতে গতকাল শনিবার ভোর থেকে সকল প্রকার ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে ফেরি কতৃপক্ষ কিন্ত তারপরও ওই দিনও কয়েকটি ফেরি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী নিয়ে আসে এবং বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি 'র বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ ফেরি চলাচলের কথা অস্বীকার করে বলেন, কোন ফেরি চলাচল করছে না। জরুরী কারনেও কোন ফেরি চালু নেই। কোন ফেরি আসেনি আর ছেড়েও যায়নি।’