প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৪:৪৮
সারাদেশে ক্যাম্পাসভিত্তিক সবচেয়ে বড় মসজিদ হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদটিতে সাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মুসল্লীদের। এছাড়া মসজিদের অন্যান্য ব্যবস্থাপনাতেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।
মসজিদের মুসল্লীদের অভিযোগ, দৃষ্টিনন্দন বৃহদাকার এই মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে সাউন্ড সিস্টেমে ক্রটি রয়েছে। এ কারণে নামাজের মধ্যে ইমাম সাহেবের কোরআন তেলাওয়াত স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। এমনকি জুমআ'র দিনেও খতিবের আলোচনা বুঝতে কষ্ট হয়।
এ সমস্যা রমজান মাসে আরো বেশি প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। তারাবীহ নামাজের মধ্যে সাউন্ড সিস্টেমে সমস্যা থাকায় তেলাওয়াত শুনতে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। যার ফলে মসজিদে আগত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামের দাবি, সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বারবার লিখিত আকারে অবগত করার পরেও কোন সমাধান পাননি।
এদিকে অনেক চড়া উতরাই পেরিয়ে মসজিদের মূল অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করলেও পূর্ব নির্মিত অংশের রক্ষণাবেক্ষণেও রয়েছে চরম অবহেলা। সদ্য শেষ হওয়া মসজিদের পূর্বাংশে সম্প্রসারিত নামাজের জায়গা পরিস্কারের অভাবে ফ্লোরের বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদের টয়লেট গুলোর অবস্থা আরও নাজেহাল।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব ড. আ.স.ম. শোয়াইব আহমদ বলেন, "মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম সমস্যা দীর্ঘদিনের। মুসল্লীরা যদি ইমামের তেলাওয়াত বা আলোচনা শুনতে না পায় তাহলে উভয়ের কষ্ট অনকেটা বৃথা যাওয়ার মত। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত দিয়ে খোঁজ খবর রেখেছি কোনো কাজ হয়নি।
সপ্তাহ খানেক আগেও এ সমস্যাটা নিয়ে আবারও লিখিত আকারে জানানো হয়েছে এখনো পর্যন্ত এর কোনো প্রতিকার পায়নি। মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে শুধু ইমাম ও মুয়াজ্জিন নিয়োগপ্রাপ্ত। এছাড়া ২ জন ব্যাক্তি দৈনিক দিনমজুর ভিত্তিতে কাজ করেন। এতো বড় মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে সংখ্যক কর্মচারী প্রয়োজন সেটা না থাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় একটু ক্রটি থাকে।"
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহিদ উদ্দীন তারেক বলেন, "আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর সপ্তাহ খানেক হলো কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি লিখিত এসেছে। লকডাউনে জরুরী সেবা ব্যতীত অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ বন্ধ রয়েছে। পরিপূর্ণভাবে দাপ্তরিক কাজ শুরু হলে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবো।"
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, "মসজিদের সাউন্ড সিস্টেম সমস্যা সেটা দীর্ঘদিনের কিনা জানিনা। তবে আমার কাছে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি, আসলে বিষয়টি দেখবো।"