প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১৭:১
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে রবিবার রাতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ হেফাজত ইসলামের কালিয়াকৈর উপজেলার আমির মুফতী মাওলানা মোঃ এমদাদুল হক (৫০), তার সহযোগী মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী (৪৮) কে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ।
এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি করে। ককটেল বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ সদস্য আহত আহত হয়। আহতদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রেসরিলিজ ও থানা সূত্রে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কিছু দুস্কৃতিকারী কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা টু কালামপুরগামী রোডে চন্দ্রাস্থ সিএনজি স্ট্যান্ডে একত্রিত হয়ে ধংসাত্বক কার্যক্রম চালাতে পারে ও যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে।
এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা পুলিশের একটি দল রবিবার রাত ৩টায় কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর নামক স্থানে উপস্থিত হয়। এসময় ৩৫/৪০ জন দুস্কৃতিকারী অতর্কিতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে।
ককটেল বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের গুলি করে। তখন দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে মুফতী মাওলানা মোঃ এমদাদুল হক (৫০), আমীর কালিয়াকৈর উপজেলা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও সভাপতি কালিয়াকৈর ওলামা পরিষদ এবং প্রিন্সিপাল, চন্দ্রা দারুল-উলুম মাহমুদ নগর মাদ্রাসা, ডাইনকিনি, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৪০) সহকারী শিক্ষক (আরবি প্রভাষক) চন্দ্রা দারুম-উলুম মাহমুদ নগর মাদ্রাসা, ডাইনকিনি ও মোহাম্মদ আলী (৪৮), সর্ব পিতা- হাজী সিরাজুল ইসলাম, সর্ব সাং-ডাইনকিনি, থানা-কালিয়াকৈর, জেলা-গাজীপুরদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
আহত ০৩ জন পুলিশ সদস্যকে কালিয়াকৈর উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। অত্র এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত আছে। অন্যান্য দুস্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এঘটনায় ধারা-১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩/৪ তৎসহ পেনাল কোড ৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৪ ধারায় কালিয়াকৈর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে কালিয়াকৈর থানার ওসি মো: মনোয়ার হোসেন চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১