প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫৫
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) আওতাধীন এলাকার অপরাধ দমন, নগরজুড়ে অপরাধীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি ‘মিছিল-মিটিং, সভা সমাবেশের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের শনাক্তে’ দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদররোড, গীর্জমহল্লা ও চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে বিএমপির আওতাধীন চারটি থানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)।
তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে আজকাল অনেক ঘটনাই সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে। ক্যামেরাগুলো স্থাপন করার কাজ সম্পূর্ণ হলে নগরীর ভেতর অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।
নগর পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ক্যামেরার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন চিহ্নিত অপরাধীদের শনাক্ত করা ও যে কোনো অপরাধকারীদের চিহ্নিত করতে সিসি ক্যামেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া নগরীতে মিছিল-মিটিং ও সভা সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলাকারী অরজগতা সৃষ্টি করা ব্যক্তিদেরকে সহজেই চিহ্নিত করতে সুবিধা হবে।
বিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনকাজ শেষ হলে অনেক অপরাধীর ভেতর আতঙ্ক কাজ করবে। যারা বুঝে যাবে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রশাসনের সদস্যরা তাদের সহজেই খুজে বের করে ফেলবে। সেক্ষেত্রে তাদের মনের ভেতর অনেকটাই দুর্বলতা কাজ করবে এবং তারা অপরাধ থেকেও সরে আসবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধও কমে আসবে।’
উল্লেখ্য ইতি পূর্বে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় করে সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামালের সময় নগরীতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন স্তানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ছিল।
সেসময় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও তা সঠিকভাবে মনিটরিং না করার এক প্রর্যায়ে সেই সব ক্যামেরাগুলো সড়কপথে থেকেও অকার্যকর হয়ে পড়ে।ফলে কর্পোরেশনের কয়েক লক্ষ টাকা ব্যায় হলেও নগরবাসীর জন্য কোন সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেনি সিসি ক্যামেরাগুলো।