ট্রাকসহ ধসে পড়ল বেইলি ব্রিজ

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় জুঙ্গুরদি বাসস্ট্যান্ড ও নগরকান্দা সদরের মধ্যবর্তী কুমার নদের উপরে স্থাপিত একমাত্র বেইলি ব্রিজটি ধসে পড়েছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে ১০ চাকার একটি ট্রাকসহ ব্রিজটি ধসে পড়ে।

প্রায় আড়াই যুগ আগে আশির দশকে নির্মিত ওই বেইলি ব্রিজটি ধসে যাওয়ায় ফরিদপুর-নগরকান্দা-মুকসুদপুর আঞ্চলিক রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি প্রয়োজনে ছোট যানে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে ভুক্তভোগীরা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বালুবাহী ১০ চাকার ওই ট্রাকটি জুঙ্গুরদি অভিমুখ থেকে বেইলি ব্রিজে উঠলে পার হওয়ার আগেই ব্রিজটি ধসে পড়ে।

বর্তমানে স্থানীয় পথচারীরা বিভিন্ন প্রয়োজনে নগরকান্দা যাতায়াতে নৌকায় নদী পাড়ি দিচ্ছে। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহনগুলো কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ ব্যবহার করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় যোগাযোগের ব্যবস্থা গড়ে তোলা না হলে জনগণ ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

নগরকান্দা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহানউদ্দিন আনিস জানান, পাঁচ টন ওজন বহনের সক্ষমতা নিয়ে আশির দশকের শেষের দিকে নির্মিত বেইলি ব্রিজটি অনেক আগেই জরাজীর্ণ ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসী সেখানে নতুন একটি সেতু নির্মাণের দাবিও জানিয়ে আসছিল।

বোরহানউদ্দিন আনিস আরও জানান, সম্প্রতি ফরিদপুরের সড়ক ও যোগাযোগ বিভাগ বেইলি ব্রিজের কিছু স্লিপার মেরামত কাজ করে। ওইসময় পাঁচ টন ওজনের স্থলে সাত টন ওজন বহনের অনুমতি সম্বলিত একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেয়।’নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতি প্রু বলেন, ‘খবর পেয়ে বিষয়টি ফরিদপুরের সড়ক বিভাগকে জানানো হয়েছে। একটি বিকল্প পথ গড়ে তোলার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত ১০ চাকার বালিবাহী ট্রাকটি প্রায় ৩০ হতে ৩৫ টন ওজনের ছিল বিধায় অতিরিক্ত ভার বহন করতে না পেরে সেটি ধসে পড়েছে। আমরা বিকল্প পথে সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পথ বের করার চেষ্টা করছি।’

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ‘ধাওয়াপাড়া হতে বালি নিয়ে আসা ট্রাকটি নির্ধারিত ওজনেরও কয়েকগুণ বেশি ওজনের ছিল। আমরা ট্রাকের চালককে আটক করতে পারিনি। এছাড়া মালিকের সন্ধানও পাইনি।’