প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১২:১১
বরিশালের হিজলা উপজেলার হিজলা গৌরব্দী ইউনিয়নের আবদা এলাকায় সাহিনুর(২২) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী জুয়েল বেপারী এবং শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার হয়ে সাহিনুর হিজলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে একই ইউনিয়নের বিশর এলাকার মোঃ হাসান হাওলাদের মেয়ে।
সাহিনুর জানায়, চার বছর আগে দুই পরিবারের সম্মতিতে জুয়েল বেপারীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে। স্বামী পেশায় একজন মৎস্যজীবি। বিয়ের কিছু দিন পরে তাকে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে স্বামী। যৌতুক না দেয়ার কারণে তার উপর শুরু হয় নির্যাতন।
তাদের সুরাইয়া নামে দুই বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে। যৌতুক না দিলে তাকে সহ তার শিশুকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। ভয়ে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক বাবদ নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং একটি গরু স্বামীকে দেয়া হয়েছে। এরপর আবার শুরু হয় নির্যাতন।
নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শিশুকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। এরপর এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ সালিসিতে ব্যর্থ হয়। শেষে আদালত পর্যন্ত পৌঁছায় নির্যাতনের ঘটনাটি। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানিতে স্ত্রী এবং শিশুকে বাড়িতে নিয়ে স্বামীকে সংশোধনের জন্য বিশ দিন সময় দেয় আদালত।
সেই অনুযায়ী স্বামীর অনুরোধে বাবার বাড়ি থেকে শিশুকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যায় সে। রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌতুকের টাকা এবং মামলা তুলে নেয়ার জন্য মারধর শুরু করে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি মিলে। তাকে মেরে ফেলতে গলা চেপে ধরে স্বামী।
তাকে সবাই মিলে যখন মারধর করছিলো ভয়ে শিশুটি চিৎকার করতে থাকলে, শিশুটিকেও মারধর করে স্বামী। খবর পেয়ে বাবার বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে এবং তার চিকিৎসার জন্য হিজলা হাসপাতালে ভর্তি করে। উক্ত ঘটনার ব্যাপারে জানতে স্বামী জুয়েল বেপারীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।