প্রকাশ: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:৫৯
"শিক্ষিকা থেকে মুদি দোকানি" এই শিরোনামে যুগান্তর অনলাইনে ও "মুদি দোকান করে সংসার চলছে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষিকার" এই শিরোনামে দৈনিক নওরোজ,দৈনিক নাগরিক ভাবনা, আমার সময়,আলোকিত সকাল পত্রিকায় এবং ইনিউজ৭১.কম অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশের পর নগদ অর্থ সহায়তা পেল কিন্ডারগার্টেন শিক্ষিকা চন্দনা সাহা।
গত বুধবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ভূঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুলের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তির নগদ অর্থ শিক্ষিকা চন্দনা সাহার কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সংবাদটি চট্টগ্রামের এক ব্যক্তির নজরে আসে। এতে তিনি ওই শিক্ষিকাকে নগদ সহায়তা করার জন্য যুগান্তরের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষিকা চন্দনা সাহাকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন।
শিক্ষিকা চন্দনা সাহার হাতে টাকা বুঝিয়ে দেন "দৈনিক আমার সময়" ও "দৈনিক আলোকিত সকাল" পত্রিকার ভূঞাপুর উপজেলা প্রতিনিধি কোরবান আলী তালুকদার, "দৈনিক জবাবদিহি" পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মুহাইমিনুল ইসলাম হৃদয় এবং "দৈনিক নওরোজ" পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ফুয়াদ হাসান রঞ্জু।
উল্লেখ্য, চন্দনা সাহা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১২ সাল থেকে "গোবিন্দাসী ক্যাডেট স্কুল" (কেজি) স্কুলে সামান্য বেতনের চাকরি করতেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেন সরকার।
এতে চরম হতাশায় পড়েন চন্দনা সাহা সহ কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর শিক্ষক-শিক্ষিকারা। করোনার কারনে কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ থাকায় এবং স্বামী ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ থাকায় দুই সন্তানসহ ৪ জনের সংসার চালানোর অন্য কোন উপায় না দেখে মুদি দোকান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন শিক্ষিকা চন্দনা সাহা।
শিক্ষিকা চন্দনা সাহা ১০ হাজার টাকা পেয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, এখন এই সময়ে ১০ হাজার টাকা আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকার সমান। দোকান চালিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাতে গিয়ে ব্যবসার মূল পুঁজি কমে গেছে। ওই ব্যক্তির টাকা পেয়ে ব্যবসা আরো ভালোভাবে করতে পারবো বলে আশা করছি।