প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২১:২৯
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শীতকালীন সবজি চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকরা। লাভের আশায় চাষ করা সবজি এখন তাঁদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছেন তারা। সবজি বাজারে মন্দা ভাব বিরাজ করায় লাভের বদলে লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে সবজি চাষে যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে কৃষকরা প্রায় ১ হাজার ৮০৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন।
উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সবজির দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ তুলতে না পারার শঙ্কায় দেখা দিয়েছে। অপরদিকে সবজি পঁচনশীল পণ্য হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্ষেতে রাখতে না পেরে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার উপজেলার ভূরুঙ্গামারী হাটে গিয়ে দেখা যায়, ফুলকপি, বাঁধাকপি, আলু, বেগুন, শিমসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি প্রচুর পরিমাণে হাটে এসেছে। বেগুনের কেজি ৫ থেকে ৮ টাকা, শিম ১৫ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতি পিচ ২-৩ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতিটি ২০ টাকা, ধনেপাতা ১০ থেকে ১৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, আলু ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা, মূলা ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক শহিদুল জানান, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করেছি, এতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদন ভালো হয়েছে কিন্তু বাজারে প্রতি পিচ কপি বিক্রি করতে হচ্ছে ২ থেকে ৩ টাকায়। এতে শ্রমিকের মজুরিও উঠবে না।
আরেক কৃষক জয়নাল জানান,দেড় বিঘা জমিতে আলু করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ উঠবে না।সবজি ব্যবসায়ী আনোয়ার জানান, প্রতি পিচ কপি ৩ টাকায় কিনে ৫ টাকা এবং প্রতি কেজি আলু ১২ টাকায় কিনে ১৫ টাকায় বিক্রি করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। একই সময়ে অধিক পরিমাণে সবজি বাজারে আসার কারণে কৃষকরা হয়তো দাম একটু কম পাচ্ছেন।