প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:১০
বরিশালের হিজলা থানার পাশে জুলেখা নামে এক গৃহবধূর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সাইফুল্লাহ রিয়াজ সহ শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। অগ্নিদগ্ধ জুলেখা সরকারি হিজলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
সে বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর এলাকার আঃ কাদের গাজীর মেয়ে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আগুনে রোগীর শরীরের পেছনের অংশে শতকরা ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। আহত জুলেখা জানায়, সরকারি সংহতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শাহজাহান বিএসসির ছেলে অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ রিয়াজের সাথে মোবাইলে পরিচয় এবং শেষে বিয়ে।
জুলেখা জর্ডানে থাকতো, করোনার কারণে দেশে ফিরে এসে জানতে পারে তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। এরপর স্বামীকে পেতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে কিন্তু বারবার ব্যর্থ হয়েছে। অনেক নাটকীয়তার শেষে আড়াই লাখ টাকা রফাদফার বিনিময়ে জুলেখাকে তালাক দেয় স্বামী সাইফুল্লাহ রিয়াজ। আড়াই লাখ টাকা নগদ প্রদান না করে সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত একটি চেক প্রদান করা হয়েছে জুলেখাকে।
ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঐ একাউন্টে কোনো টাকা জমা নেই। স্বামীর চতুরতা বুঝতে পেরে বরিশাল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে জুলেখা। শনিবার ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে টাকা চাইতে গেলে শরীরের পেছনে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী সাইফুল্লাহ রিয়াজ সহ অন্যান্য সদস্যরা।
তখন জীবন বাঁচাতে শ্বশুরবাড়ির পাশেই খালে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু তাকে হত্যার উদ্দেশ্য শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনায় হিজলা থানায় অভিযোগ করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। অপরদিকে জুলেখার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা জানান শরীরে আগুন লাগানোর ঘটনা একটি সাজানো নাটক ছাড়া কিছুই না।
শরীরে আগুন দেয়ার ঘটনার ব্যাপারে সোমবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় গণমাধ্যমকর্মীর প্রশ্নের জবাবে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, ভুক্তভোগী জুলেখা যদি আইন সহায়তা চায় সে অবশ্যই পাবে।