উখিয়ায় কাফন পড়ে অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ধর্মঘট পালন

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা দিনব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছে। উপজেলার বিশালায়তনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা পালংখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির ব্যানারে ২৭ ডিসেম্বর সকাল থেকে থাইংখালী স্টেশন চত্বরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রবেশ মুখে এ ধর্মঘট পালন করা হয়। ধর্মঘটে স্থানীয় শত-শত শিক্ষিত বেকার যুবকসহ ভোক্তভোগী মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

তারা সকাল থেকে দাফনের কাপড় পরে সড়কে অবস্থান নেন এবং প্রত্যেকটি গাড়ি তল্লাশি করে এনজিও কর্মিদের ক্যাম্পে যেতে বাধা দেয়।তাদের দাবী ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।তারা প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা দ্ধারা নানা কষ্ট ভোগ করছে। রোহিঙ্গা আসার ফলে দেশিবিদেশি নানান এনজিও-আইএনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। তারা বার-বার স্থানীয় শিক্ষিত সমাজকে বাদ দিয়ে চাকরি করার সুযোগ দিয়েছে রোহিঙ্গাদের।

তাছাড়া উচ্চপদস্থ কর্মচারীরা অন্যান্য অঞ্চলের হওয়াই তারা সুকৌশলে তাদের আত্মীয় স্বজনদের চাকরির সুযোগ করে দিচ্ছে। যার কারণে স্থানীয় শিক্ষিত সমাজ বাদ পড়ে যাচ্ছে।এসময় তাদের প্রস্তাবিত দাবী উত্থাপন করে বক্তব্য দেন এডভোকেট এম.এ মালেক, পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক রবিউল আলম,সদস্য সচিব আব্দুল গফুর নান্নু, যুগ্ন আহবায়ক কামাল উদ্দিন, দেলোয়ার হোসাইন বাপ্পি,এতমিনানুল হক,মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ প্রমুখ।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন,রোহিঙ্গা আসার কারণে স্থানীয়রা নানাবিধ সমস্যায় ভোগছে।এনজিও-আইএনজিওগুলো স্থানীয়দের বাদ দিয়ে ৮০% রোহিঙ্গাদের নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান দাবী হল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করা। কিন্তু এনজিও-আইএনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন করার চিন্তা না করে পূর্ণবাসন করার পায়ঁতারা চালাচ্ছে।উপস্থিত পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা বলেন আমাদের প্রস্তাবিত দাবী মেনে না নিলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে বলে জানান।