পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ শামছুল হক, উপজেলা প্রতিনিধি, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার ২৭শে জুন ২০২১ ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
পাটের সোনালী দিন ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ধান, গম, ভুট্টা, আখসহ অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সোনালী আঁশ খ্যাত পাটেরও ভালো আবাদ হচ্ছে। চলতি বছর এ জেলায় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ।


এখন সোনালি আঁশে কৃষকের সুদিন ফিরেছে। পাট ওঠার শুরুর দিকে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার টাকা মণ দরে পাট বিক্রি হচ্ছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এমন দাম এই প্রথম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাটের বেশি দাম পাওয়ায় আনন্দিত কৃষক এমনকি ব্যবসায়ীরাও।


ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের চেয়ে এ বছর ৩০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এবার এখানে ৫ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো। সেখানে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছর ৫ হাজার ৮৬০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিলো।


বিগত সময়ে বাজারে পাটের দাম না পাওয়ায় জেলায় ধীরে ধীরে কমে যায় পাটের চাষ। মূলত গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় পাট চাষে আবারো আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের মাঝে।


পাট চাষি  সুমন ঘোষ বলেন, আমি দেড় যুগ ধরে পাট চাষ করে আসছি।  অন্যান্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে রোগবালাই কম হওয়ার কারণে খুব একটা কীটনাশকের ব্যবহার করতে হয় না। ১ বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। আর এতে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ করে পাট উৎপাদন হয়।


আজমল, মনসুর, রজদ আলীসহ কয়েকজন চাষি জানান, তারা বাপদাদার আমলসহ কয়েক যুগ ধরেই পাট চাষ করছেন। এই এলাকায় একটি জুট মিল (করিম জুট মিল) স্থাপিত হয়েছিলো। কয়েক বছর ধরে পাটের নায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত। সুপ্রিয় জুট মিল নামে আরো একটি বড় জুট মিল স্থাপিত হয়েছে।  এখানে পাটের বাজারে সু'দিন ফিরে এসেছে।  তাই আবারও পাট চাষ করছেন তারা।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন, গত বছর দাম বেশি পাওয়ায় এবছর বেশি পরিমানে পাটচাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা।  আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এই অঞ্চলে পাটের ফলন ভালো হচ্ছে । আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পাট চাষিদের সব রকমের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।