শ্রীমঙ্গলে শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বানে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
এহসান বিন মুজাহির জেলা প্রতিনিধি , মৌলভীবাজার
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৩শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৯:০২ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বানে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে 'সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি' শীর্ষক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) শ্রীমঙ্গলের আয়োজনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।  


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন পিএফজি শ্রীমঙ্গল উপদেষ্টা ও দুপ্রক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ নেসার আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সৈয়দ ছায়েদ আহমেদ।  


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সনাক শ্রীমঙ্গলের সভাপতি দ্বীপেন্দ্র চন্দ্র ভট্টাচার্য্য। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএফজি সদস্য ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য হেলেনা চৌধুরী। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও এমআইপিএস প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এ সংলাপে বিভিন্ন ধর্মের নেতারা বক্তব্য রাখেন।  


বক্তব্য প্রদান করেন শ্রীমঙ্গল জামে মসজিদের ইমাম-খতিব হাফেজ মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস নিজামী, কাকিয়া বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা শরীফ উদ্দিন, হিন্দু ধর্মীয় নেতা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, পরিমল সিং বাড়াইক, খ্রিস্টান নেতা ডমনিক সরকার রনি ও জন ব্রাইন দারিং। এ সময় পিএফজি সদস্য মো. শামীম আহমেদও বক্তব্য রাখেন।  


বক্তারা শ্রীমঙ্গলকে শান্তি ও সম্প্রীতির শহর হিসেবে উল্লেখ করেন এবং শান্তি বজায় রাখতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তারা বলেন, সংঘাত নয়, বরং সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা দিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিতে হবে।  


অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। প্রবন্ধ পাঠ করেন এ্যাম্বাসেডর কাজী আসমা এবং অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন মাওলানা এম এ রহিম নোমানী।  


পিএফজি কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হুদা মিনা প্রজেক্টরের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পিএফজি শ্রীমঙ্গল বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।  


বক্তারা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সম্প্রীতির পরিবেশ আরও জোরদার করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং এই ধরনের সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে সকলে মিলিতভাবে শান্তি ও সহমর্মিতার পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।