প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১২:১০
বাংলাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে বর্তমানে মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে। দেশের ছয় বিভাগ এবং ৪৯টি জেলায় এ ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বুধবার (১১ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়া এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু এলাকায় এই ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। নীলফামারী জেলায় মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে। এর পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে যা কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ চমকানো এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলায় একই ধরনের আবহাওয়া দেখা যেতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী শুক্রবার থেকে শুরু করে সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অবস্থা অনুকূল থাকবে না। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত ও দমকা হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবার ও রোববারও দেশের অনেক স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে, যা কিছু জায়গায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সাধারণ জনগণকে সতর্ক করে জানিয়েছে, বিশেষ করে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে যাত্রী ও কৃষকদের সচেতন থাকতে হবে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে আর্দ্রতা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি পরিবর্তনশীল থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বৃষ্টি ও তাপমাত্রার ওঠানামা নিয়মিত থাকে, যা দেশের কৃষি ও পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই আবহাওয়া বিজ্ঞানের তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে সকলকে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।