সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করা ছয়জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উচ্ছেদের শিকার হতে পারেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ব্যবসায়ীরা আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, মহেশ্বরকাটির সড়কের পাশে মৃত রউফ সরদারের জমিতে দোকানঘর তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তারা। এসব ব্যবসায়ীর মধ্যে রয়েছেন কাঁকড়া ব্যবসায়ী গোবিন্দ সরকার, পোল্ট্রি ব্যবসায়ী রিপন, স্যালুন ব্যবসায়ী সুমন পরামানিক, গোপাল পরামানিক, গুরুপদ পরামানিক এবং ঝুড়ি-ডালা ব্যবসায়ী সত্যদাশ।
২০১৭ সালে জমিটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে চলে গেলে মালিক পক্ষ কিছু অর্থের বিনিময়ে জমির পজেশন হস্তান্তর করেন। এরপর থেকেই ব্যবসায়ীরা বিনা ভাড়ায় সেখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এবং জমির ডিসিআর পাওয়ার জন্য সওজ কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। তবে বর্তমানে ডিসিআর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের আবেদনটি ঝুলে রয়েছে।
সম্প্রতি, ইয়াছিন দিং নামের একজন ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভাড়া দাবি করেন এবং ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ইয়াছিনসহ মিজানুর ও বাহাদুর দিং গত ২৬ ডিসেম্বর ঘরে তালা লাগানোর হুমকি দেন এবং ব্যবসার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। দোকানের সামনে বাঁশ ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিছুর রহমান দাবি করেন, তাদের কাছে জমির কোবালা দলিল ও ডিসিআর রয়েছে। দোকানগুলোর ভেতরে তাদের জমি পড়েছে, যা কাগজপত্র দিয়ে প্রমাণ করা যাবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু জানান, সওজ বিভাগের জমিতে এসব দোকান স্থাপিত হয়েছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দিনমজুরি করে সংসার চালান। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আয়ের একমাত্র উৎসটি রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আশাশুনি থানার এএসআই শফিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। তবে ওসি বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন এবং নিজেদের আয়ের উৎসটি টিকিয়ে রাখার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।