কুয়াকাটায় "রাখাইন ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী সম্প্রতি সমারোহ"

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ১৮ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
কুয়াকাটায় "রাখাইন ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী সম্প্রতি সমারোহ"

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী "রাখাইন ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী সম্প্রতি সমারোহ" অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সেল এর ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাখাইন মহিলা মার্কেট থেকে শুরু হওয়া একটি র‍্যালী কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ডিসি পার্ক স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। এই র‍্যালীতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকজনসহ স্থানীয় জনগণ অংশগ্রহণ করেন।


এরপর সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে “সম্প্রতি সমারোহ” অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মাদ আরেফীন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন, পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ, কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম, রাখাইন বুদ্ধিষ্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পটুয়াখালী জেলা সভাপতি এমং তালুকদার, কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক কৌশিক আহমেদ ও উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা।


এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপ-পরিচালক এস এম শামিম আকতার।


দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে রাখাইন শিল্পীদল ছাড়াও বরগুনা, পটুয়াখালী এবং স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে পার্বত্য অঞ্চল থেকে ত্রিপুরা, লুসাই, চাকমাসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করছেন।


বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড আমাদের চিন্তার নতুন দিগন্ত খুলে দেয়। বর্তমানে দেশে যে সংকটময় সময় চলছে, তার মাঝে আমরা নতুন চিন্তা এবং শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি। দেশের বহু জাতিগোষ্ঠী একত্রে থাকতে শিখেছে এবং সবাইকে একসঙ্গে মিলিত করে বহুত্ববাদী সমাজের বিকাশে কাজ করছি। এই মেলা দেশের বিভিন্ন স্থানেও আয়োজন করা হবে।”


তিনি আরও বলেন, “আমরা সবাই মিলে মিশে একযোগে বাংলাদেশের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে চাই। এই মেলার মাধ্যমে জাতিগোষ্ঠী ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হওয়া সম্ভব।”