থাকেন মাটির ঘরে। করেন দিনমজুরি। একদিন কাজ না পেলে মুশকিল হয়ে যায় সংসার চালাতে। এমন অবস্থায় কেনেন লটারি। যার মূল্য ৩০ টাকা। আর এতেই ঘুরে যায় আসারুলের ভাগ্য। হয়ে যান কোটিপতি। এত টাকা পেয়ে ভয়ে যান পুলিশের কাছে। চান নিরাপত্তা।
এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুরারই থানার গোপালপুর গ্রামের আসারুল কাজীর সঙ্গে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় একটি গণমাধ্যম তাকে নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাবা,মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে একই বাড়িতে থাকতেন আসারুল। ছেলেটিও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। যাকে চিকিৎসা করাতেও পারছিলেন না তিনি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি দোকান থেকে ৩০ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন লটারি। বৃহস্পতিবার জানতে পারেন অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ড্র’। ওই দোকান থেকেই লটারি কিনে কেউ একজন হয়ে গেছেন কোটিপতি। কোনোকিছু না ভেবেই মেলালেন কোড নম্বর। দেখলেন তিনিই জিতেছেন কোটি টাকা।
লটারি মেলাতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন আসারুল। পরক্ষণেই হয়ে পড়েন আতঙ্কগ্রস্ত। আগপিছ না ভেবে হাজির হন মুরারই থানায়। নিরাপত্তা চান নিজের, সাথে নিরাপত্তা চান তার টাকারও।
পুলিশও ফেরায়নি তাকে। করেন আশ্বস্ত। বলেন, দেয়া হবে সবধরনের সুরক্ষা।
লটারি জিতে কোটিপতি আসারুল বলেন, টাকার অভাবে প্রতিদিন কিনতে পারতেন না লটারি। তবে সপ্তাহে দু-একদিন ঠিকই কিনতেন। কিন্তু কখনো ভাবেননি এভাবে হয়ে যাবেন কোটিপতি।
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছেলের চিকিৎসা আটকে ছিল টাকার অভাবে। এবার করাবেন চিকিৎসা। খাওয়া দাওয়া নিয়েও থাকবে না দুশ্চিন্তা।
থানায় যাবার বিষয়ে বলেন, এর আগে কখনো একত্রে দেখেননি ৫০ হাজার টাকাও। তাই শুরু থেকেই ভয় কাজ করছিল। থানায় গিয়ে মূলত তিনি নিরাপত্তা চেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।