সিলেট টেস্টের ফলাফল নিয়ে এখন তীব্র আলোচনা চলছে। গতকাল দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি মুমিনুল হক এবং জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি মুজারাবানির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, জয়-পরাজয়ে কত রানের ভূমিকা থাকবে। মুমিনুল ২৭০ থেকে ৩০০ রানকে নিরাপদ লিড দাবি করেন, তবে মুজারাবানির মতে, ২০০ রানের টার্গেট তাড়া করা সম্ভব। এর মানে, বাংলাদেশকে ২৮২ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে জিম্বাবুয়েকে এবং তারপর ৩৮২ রান করতে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে, যা খুবই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। সিলেট টেস্টের পেন্ডুলাম যেন দুলছে, এবং বাংলাদেশকে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনে ১ উইকেটে ৫৭ রানে খেলা শেষ করেছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিন বেশ কয়েকবার বিরতি দিয়ে মাত্র ১৯৪ রানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। ৪৪ ওভারে তিনটি উইকেট হারিয়ে দিন শেষ হয়। তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে বেশ কিছুটা সময় ব্যাহত হওয়ায় খেলা ১টায় শুরু হয় এবং এক ঘণ্টা কম খেলা হয়। আজ চতুর্থ দিনের খেলা ১৫ মিনিট আগে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক ভাল শুরু করলেও খুব বেশি সময় তাদের জুটি অক্ষত থাকতে পারেনি। জয় ৩৩ রান করে আউট হন, এবং মুমিনুলও ৪৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তবে, বাংলাদেশ দলের একমাত্র ধারাবাহিক ব্যাটার হিসেবে মুমিনুলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ তিনি সিলেট টেস্টে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরির মালিক। মুশফিকুর রহিম ৪ রান করে দ্রুত আউট হন, যা দলের জন্য বিপদের ইঙ্গিত দেয়।
তবে, শান্ত ও জাকের আলী একত্রিত হয়ে ভালো জুটি গড়েন। শান্ত ১০৩ বল খেলে ৬০ রান করেন, যা দলের জন্য একটি আশা জাগানিয়া ইনিংস। মুমিনুল হক বলেছেন, ২৭০ থেকে ২৮০ রান একটি নিরাপদ টার্গেট হতে পারে, এবং সঠিক ব্যাটিং কৌশল অনুসরণ করলে ৩০০ রান করাও সম্ভব হতে পারে।
সিলেট টেস্টে ব্যাটিং ইউনিটের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন মুমিনুল, বিশেষত গত কয়েকটি টেস্টে ধারাবাহিকভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য। তার মতে, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো খেলা দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্বল পারফরম্যান্স দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ।