সিলেটের কানাইঘাটে ৬ বছরের শিশু মুনতাহাকে খুনের অভিযোগে গৃহশিক্ষক মার্জিয়া বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে জানা গেছে, শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাইভেট পড়ানোর জন্য নিষেধ করা হয়েছিল। এরপরই ক্ষোভে শিশুটিকে হত্যা করে গৃহশিক্ষক।
গত সাতদিন ধরে নিখোঁজ ছিল মুনতাহা। তার পরিবারের সদস্যরা ৩ নভেম্বর কানাইঘাট থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করলে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যা একটি বস্তায় ভরে খালের পাশে ফেলে রাখা ছিল। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, যা তাকে গলাটিপে হত্যা করার প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহশিক্ষক মার্জিয়া জানিয়েছে যে, শিশুটির মা তাকে প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করেছিলেন, এবং এর ফলে তার মধ্যে ক্ষোভ জন্মেছিল। সেই ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মুনতাহাকে হত্যা করেন।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য অনুযায়ী, মার্জিয়া বেগম কিছু দিন আগে থেকে মুনতাহার পড়াশোনার জন্য আসতেন। তবে, প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করার পর তার মধ্যে বিদ্বেষ জন্মেছিল বলে ধারণা করছেন তারা।
পুলিশের কাছে আটককৃত গৃহশিক্ষক মার্জিয়া হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং দ্রুতই আদালতে পাঠানো হবে।
শিশু মুনতাহার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, এবং অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।