"স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ ১৭ জন এক পরিবার: নিয়োগের নতুন বিতর্কের জন্ম"

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , নীলফামারী
প্রকাশিত: বুধবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৭ অপরাহ্ন
"স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ ১৭ জন এক পরিবার: নিয়োগের নতুন বিতর্কের জন্ম"

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ এক পরিবারের মোট ১৭ জন কর্মরত রয়েছেন—এমন একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার বিদ্যালয়টিকে পরিবারের কাছে রূপান্তরিত করেছেন।


১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে অনন্ত কুমারকে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর অনন্ত কুমার তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন, যা পরবর্তীতে স্থানীয়দের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করে।


প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর, প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে তার ছেলে বিমল চন্দ্র রায়কে নির্বাচিত করেন। এরপর দুজন মিলে বিদ্যালয়ে অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দেন। বর্তমানে, বিদ্যালয়ে মোট ১৮ জন কর্মী রয়েছেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন প্রধান শিক্ষকের পরিবারের সদস্য।


স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের এই পরিবারতন্ত্রের বিষয়টি বর্তমানে আলোচনায় আসার পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তিনি দাবি করেন, নিয়োগকালে যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং স্কুলের মানসম্মান নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।


অপরদিকে, সহকারী শিক্ষক বিনয় কিশোর সরকার বলেন, "আমরা যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়েছি এবং প্রধান শিক্ষকের পরিবারের বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।"প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই ও বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মদন মোহন রায়ও দাবি করেন, "আমরা সকলেই বিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেয়েছি। স্কুলে পরিবারতন্ত্র নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।"এই বিতর্কের মাঝে, বিদ্যালয়ের জন্য একটি স্থিতিশীল ও সহনশীল পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।