জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলে আন্দোলন চলবে। শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা চাই, জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচারের ক্ষেত্রে দৃশ্যমান অগ্রগতি। খুনিদের বিচারের কার্যক্রম অবশ্যই দৃশ্যমান হতে হবে।" তিনি আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ এখন আর গণতান্ত্রিক বা রাজনৈতিক দল নয়, তারা একটি ফ্যাসিবাদী দল। তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।"
এনসিপি আহ্বায়ক সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, "আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই—এমন মন্তব্যের প্রতি আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাদের এমন মন্তব্য অপ্রয়োজনীয় এবং রাষ্ট্রীয় পদ থেকে এমন বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য।" তিনি আওয়ামী লীগের সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পর্কে কার্যকর অগ্রগতি না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, "যথাযথ বিচার ছাড়া আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া যাবে না।"
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "আওয়ামী লীগ এখন গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে। তারা এই দেশের গণহত্যায় শামিল। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা যদি কোনো আলোচনা হয়, তাহলে এনসিপি তাতে তীব্র প্রতিবাদ জানাবে।" তিনি বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ ৩৬ জুলাইয়ের মাধ্যমে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে, আর তাই এনসিপি কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের ফিরে আসা মেনে নেবে না।"
তিনি অবশেষে সব রাজনৈতিক দল ও পক্ষকে আহ্বান জানান, যেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যায়। "এনসিপি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী সব পক্ষকে একত্রিত হতে আহ্বান জানাচ্ছে।"
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং ডা. তাসনিন জারা সহ এনসিপির অন্যান্য সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।