নোয়াখালীতে আদালতের আদেশ অমান্য করে পাকা দালান নির্মাণ

২০২৪ সালের ১৮ মার্চ নোয়াখালী সদর অতিরিক্ত ১ম আদালতের সহকারী জজ নিশি আক্তার আদালতের আদেশে নিশ্চিত করেন যে, জমির মালিকানায় বিরোধ চলতে থাকায় কোন পক্ষই সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। এ আদেশ পাওয়ার পরও নুর উদ্দিন তার পাকা দালান নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধ করেননি। এক মাস ধরে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু নুর উদ্দিন তাতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি ৪ এপ্রিল রাতে ছাদের ঢালাইও সম্পন্ন করেন।  

এ বিষয়ে জমির মালিক মো. সামছুল হক জানান, তিনি ১৯৯০ ও ১৯৯৫ সালে দুটি দলিলে জমি কিনে দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। কিন্তু ২০১৮ সালে নুর উদ্দিন হঠাৎ করে ওই জমিটি তার দাবি করে দখল করতে শুরু করেন। মামলাও আদালতে চলমান রয়েছে, কিন্তু নুর উদ্দিন আদালতের আদেশ অমান্য করছেন এবং গত মার্চ মাসে দলবল নিয়ে জমির কিছু অংশে মাটি ভরাট করে পাকা দালান নির্মাণ শুরু করেন।  

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, নুর উদ্দিনের দলের লোকজন এলাকায় ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এলাকার কেউ প্রকাশ্যে এই নির্মাণ কাজের বিরোধিতা করতে সাহস পাচ্ছেন না। জমির মালিকের পরিবারের সদস্যরাও বর্তমানে ওই এলাকায় যেতে পারছেন না।  

এ ব্যাপারে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সেখানে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বলেছিল। তবে নুর উদ্দিন আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি তারা আদালতে প্রতিবেদন আকারে জানিয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  

নুর উদ্দিন দাবি করেছেন যে, ওই জমিটি তার পৈত্রিক এবং তিনি বয়া সূত্রে মালিক। তবে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে এবং তিনি আদালতের আদেশ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।  

এই ঘটনার ফলে এলাকার মানুষ উদ্বেগে রয়েছেন এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন।