ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আজ নতুন একটি ছাত্রসংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত এই সংগঠনটি ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ স্লোগানকে ধারণ করে যাত্রা শুরু করবে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বেই এটি গঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এটি কোনো লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন হবে না এবং নতুন যে রাজনৈতিক দল গঠনের কথা শোনা যাচ্ছে, তার সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
সংগঠনের কাঠামো সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। সর্বোচ্চ পদ হবে আহ্বায়ক, এরপর সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং সংগঠক। আহ্বায়কের সঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়ক প্যানেল এবং সদস্যসচিবের সঙ্গে যুগ্ম সদস্যসচিব প্যানেল থাকবে। তিনি আরও বলেন, নতুন সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায় ও শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। রাজনৈতিক শিক্ষা ও ছাত্র নাগরিক সংহতির মতো বিষয়গুলো আমাদের কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলাই হবে মূল লক্ষ্য।
এদিকে, সংগঠনের নেতৃত্বে কারা থাকছেন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন সংগঠনের আহ্বায়ক হবেন আবু বাকের মজুমদার এবং সদস্যসচিবের দায়িত্বে থাকবেন আব্দুল কাদের। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা এই সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবেন।
নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ছাত্রসমাজের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতে একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। তবে এ নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সংগঠনটির দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম ও কর্মপদ্ধতি দেখেই এর প্রকৃত অবস্থান বোঝা যাবে।
অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা নতুন এই সংগঠন সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ মনে করছেন, এটি শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে। তবে সংগঠনের নেতারা বলছেন, তারা কোনো নির্দিষ্ট মতাদর্শ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষাকে অগ্রাধিকার দেবেন।
আজকের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্রনেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর নতুন এই সংগঠন কী ধরনের কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে, তা নিয়ে শিক্ষার্থী মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।