বিরামপুরে ভুট্টা ক্ষেতে রক্তের দাগ, আতঙ্কে পুরো এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:২২ অপরাহ্ন
বিরামপুরে ভুট্টা ক্ষেতে রক্তের দাগ, আতঙ্কে পুরো এলাকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের এক ভুট্টা ক্ষেত থেকে সিমসহ একটি মুঠোফোন, রক্তমাখা লাঠি, দড়ি এবং বোতলে ভর্তি পেট্রোল উদ্ধার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।


শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর ফুলডাঙ্গা মাঠে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক কাজ করতে গেলে ঘটনাটি তাদের নজরে আসে। তারা দেখতে পান, ভুট্টা ক্ষেতের বেশ কিছু গাছ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। কাছে গিয়ে তারা রক্তমাখা বাঁশের লাঠি, সিমসহ একটি মুঠোফোন, রক্তমাখা একটি নাইলন দড়ি এবং দুটি বোতলে পেট্রোল দেখতে পান। পরে আধা কিলোমিটার দূরের পাকাসড়কের ওপর রক্তের দাগ চোখে পড়ে।


ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উদ্ধারকৃত আলামতগুলো জব্দ করেন।


স্থানীয়দের দাবি, শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি দক্ষিণ মাধুপুর জামে মসজিদের উদ্যোগে একটি ইসলামি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মাহফিল চলাকালে দক্ষিণ মাধুপুর নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় মুঠোফোনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সন্দেহ, এই ঘটনার জের ধরেই গভীর রাতে ভুট্টা ক্ষেতে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে এবং মরদেহ গুম করা হয়ে থাকতে পারে।


এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, "গ্রামবাসীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা লাঠি, রক্তমাখা দড়ি, সিমসহ মুঠোফোন, দুটি বোতল পেট্রোলসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। সংগৃহীত আলামত দেখে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হবে।"


পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে মরদেহ না পাওয়ায় পুরো বিষয়টি নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশ বলছে, প্রকৃত ঘটনা তদন্তের পরই জানা যাবে।