উলিপুরে শীতার্তদের পাশে ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আসলাম উদ্দিন আহম্মেদ, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৫৪ অপরাহ্ন
উলিপুরে শীতার্তদের পাশে ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন

**উলিপুরে শীতার্তদের পাশে ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন** কুড়িগ্রামের উলিপুরে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন নিয়মিত সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছরও ফাউন্ডেশন শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৫৩২টি উলেন চাদর বিতরণ করেছে। ৩১ জানুয়ারি, ১ ফেব্রুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারি উলিপুর ও চিলমারীসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।  


ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন ২০০৫ সাল থেকে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করে। রংপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সফিউল আলম উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে নিজ বাড়িতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করেন। পরে তার সহধর্মিণী ডাঃ সাইমুন নাহার দিবা, চাচাতো ভাই ডাঃ মোঃ ফজলুল করিম, তার স্ত্রী ডাঃ রওনক তানিয়া এবং পরিবারের অন্যান্য চিকিৎসকরাও এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রতি ঈদের পরের দিন ফাউন্ডেশন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে আসছে।  


২০১০ সাল থেকে ফাউন্ডেশন নিয়মিত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা, গণসচেতনতা কার্যক্রম, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং দুর্যোগকালীন সহায়তা প্রদান করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় এবারও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উলিপুর উপজেলার রামদাসধনিরাম ফাউন্ডেশন অফিসে ১৭৬টি, চিলমারীর জোড়গাছ এলাকায় ২২৭টি, নতুন অনন্তপুরের কবিরাজ পাড়ায় ৪৭টি, থানাহাট, রমনা ও শরিফের হাটে ৪১টি এবং রংপুরের খাসবাগে ৪১টি চাদর বিতরণ করা হয়।  


বিতরণ অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোঃ রেজাউল করিম, ডাঃ মোঃ ফজলুল করিম, আমিনুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ওবাইদুল ইসলাম, সদস্য খালেদ আশরাফ, আক্কাস আলী সরকারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।  


ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, "আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসা উচিত, যাতে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারে।"  


এলাকার বাসিন্দারা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তার মাধ্যমে ডাঃ আব্দুর রহমান ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন ধরে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আসছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।  


ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।