বাংলাদেশ বিমানের পরিবর্তে নতুন এয়ারলাইন্স তৈরির সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
বাংলাদেশ বিমানের পরিবর্তে নতুন এয়ারলাইন্স তৈরির সুপারিশ

বাংলাদেশ বিমানকে ভেঙে এর অর্ধেক সম্পদ ব্যবহার করে নতুন একটি এয়ারলাইন্স তৈরির সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্স কমিটি। নতুন এয়ারলাইন্সটির নাম হবে ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’ এবং এটি আধুনিক ব্যবস্থাপনার আওতায় পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়েছে।  


সোমবার অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির সুপারিশ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান ৫০ বছরের বেশি সময়েও মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পারেনি, ফলে এটি আধুনিককরণের জন্য নতুন উদ্যোগ নিতে হচ্ছে।  


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিমানের সেবার মান উন্নত না হওয়ায় এটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন এয়ারলাইন্স ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’ গঠনের মাধ্যমে দেশের বিমান খাতকে আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।  


এই সুপারিশ অনুযায়ী, নতুন এয়ারলাইন্সটি সম্পূর্ণ পৃথক ও বিশ্বমানের একটি ব্যবস্থাপনা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হবে, যা গ্রাহকসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো যেখানে মুনাফা করছে, সেখানে বাংলাদেশ বিমান পিছিয়ে পড়েছে, যা একটি বড় উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।  


তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ বিমান বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত, ফলে এটি যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক অবস্থানে যেতে পারেনি। নতুন উদ্যোগের ফলে বিমান খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।  


বিশ্লেষকদের মতে, ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’ গঠন করা হলে এটি বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি করবে এবং দেশের আকাশপথের সেবা আরও উন্নত হবে। তবে এই সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে।  


এই সুপারিশের বিষয়ে সরকার এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি, তবে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে জানানো হয়েছে যে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে এবং যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে সম্ভাব্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  


বিমান চলাচল খাতের উন্নয়নের জন্য এই সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দেশের এভিয়েশন শিল্প নতুন মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করবে।