ঘন কুয়াশার কারণে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
মইনুল হক মৃধা-রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার ২৪শে জানুয়ারী ২০২৫ ১১:৫০ পূর্বাহ্ন
ঘন কুয়াশার কারণে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল শুরু

ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে টানা ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত দেড়টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট কর্তৃপক্ষ ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব কমে এলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।  


শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে। এ সময় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস আটকা পড়ে, যা যাত্রীদের জন্য চরম ভোগান্তি তৈরি করে। যাত্রীরা জানান, শীতের মধ্যে এতক্ষণ অপেক্ষা করা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।  


বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনার শঙ্কায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশা কমে যাওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমানে ছোট-বড় ১৫টি ফেরি যানবাহন পারাপারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।  


এ সময় ঘাটে আটকে থাকা গাড়িগুলোর সিরিয়াল দ্রুত কমানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। দুপুরের মধ্যেই সব যানবাহন পারাপার সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, ঘন কুয়াশায় প্রতিবারই এমন ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ সময় দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।  


এই নৌরুটে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যানবাহন ও যাত্রী পারাপার হয়ে থাকে। তাই ঘন কুয়াশার সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে সমস্যার মাত্রা বেড়ে যায়। বিশেষ করে শীত মৌসুমে এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়মিত ঘটে।  


স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কুয়াশার কারণে যানবাহন আটকে থাকায় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমও ব্যাহত হয়। অনেক সময় পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর চালক ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।  


ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পর পুনরায় শুরু হওয়ায় যাত্রী ও চালকদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে ঘাটে আটকে থাকা গাড়িগুলো দ্রুত পারাপার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।  


প্রতিবছর শীত মৌসুমে এমন পরিস্থিতি এড়াতে ঘাট এলাকায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, নৌপরিবহন ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হলে যাত্রীদের এ ধরনের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে।