বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী মোহাম্মদ শরীফ উল ইসলাম শেহজাদ ওরফে বিজয় দাস একজন বাংলাদেশি নাগরিক। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা এই ব্যক্তি মুম্বাইয়ে ছয় মাস ধরে বসবাস করছিলেন।
রোববার ভোরে মুম্বাইয়ের খার থানার পুলিশ সাইফের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে বর্তমানে থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে বৈধ ভারতীয় কোনো নথি পাওয়া যায়নি। বরং কিছু নথি থেকে তার বাংলাদেশি পরিচয় উঠে এসেছে।
মুম্বাই পুলিশের ডিসিপি দীক্ষিত গেদাম জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস পরিচয়ে মুম্বাই ও এর আশেপাশে বসবাস করছিলেন। একটি হাউসকিপিং এজেন্সিতে কাজ করতেন তিনি। পুলিশের ধারণা, সাইফের বাসভবনে এই ব্যক্তি প্রথমবার প্রবেশ করেছেন এবং তার ওপর হামলার পরিকল্পনা করেই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাইফের ওপর হামলার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ভারতে প্রবেশের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে নতুন পরিচয়ে বাস করছিলেন।
এর আগে ছত্তিশগড় থেকে সন্দেহভাজন আরেকজন আকাশ কানোজিয়াকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মুম্বাই পুলিশ আরও জানিয়েছে, সাইফের ওপর হামলা ও তার পেছনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত চলছে। পাশাপাশি হামলাকারীর ভারতীয় সহযোগী বা নেটওয়ার্ক খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলছে।
সাইফ আলী খান এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে আরও সুরক্ষার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রভাব বলিউড পাড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশি নাগরিকদের অনুপ্রবেশের বিষয়ে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তার পেছনের উদ্দেশ্যও তদন্ত করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।