লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে তাফসির মাহফিল থেকে ফেরার পথে ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে রাজ মিয়া (১২) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের হাজরানীয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাজ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত এলাকার মহুবার রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজ মিয়া লালমনিরহাটে মিজানুর রহমান আজহারীর তাফসির মাহফিলে অংশ নিয়েছিল। মাহফিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে লালমনিরহাট-বুড়িমারীগামী ট্রেনের ছাদে ওঠে। ট্রেনটি কালীগঞ্জ উপজেলার হাজরানীয়া এলাকায় পৌঁছালে অসাবধানতাবশত ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণের সময় অসাবধানতায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এদিকে রাজের এই আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাজ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। এলাকার মানুষজন তার এই অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ অনেকের কাছে রোমাঞ্চকর মনে হলেও এটি যে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, এই দুর্ঘটনা তার উদাহরণ। বিশেষত শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের পরিণতি অত্যন্ত করুণ হতে পারে।
বিভিন্ন এলাকায় তাফসির মাহফিলসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ট্রেনে ছাদে ভ্রমণ করে থাকে। তবে সঠিক নিরাপত্তার অভাব এবং অসচেতনতার কারণে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে ছাদে ভ্রমণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
এদিকে রাজের পরিবার তার মরদেহ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার অকাল প্রয়াণে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।