নোয়াখালীতে মেয়ের গাইড বই আনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান কিরণ (৬০)। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলার সদর উপজেলা পরিষদের সামনে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মিজানুর রহমান কিরণ জেলার কবিরহাট উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের বড় ছেলে। তিনি দৈনিক সমাজ সংবাদের কবিরহাট উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান কিরণের বড় মেয়ে আজরিন ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় মেয়ের জন্য গাইড বই কেনার উদ্দেশ্যে তিনি মোটরসাইকেলে করে কবিরহাট থেকে মাইজদীর দিকে রওনা দেন। পথে সোনাপুর-মাইজদী সড়কে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ ঘটে। এতে তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলে রাত ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে, দুই ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিক মহল, সহকর্মী, পরিবার এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় নিজ গ্রামে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান এবং জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনা সম্পর্কে থানায় কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।