গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কুয়াশার কারণে দুপুর ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
উত্তরের হিমশীতল বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবী মানুষদের জীবনযাত্রায় এই তীব্র ঠান্ডা প্রচণ্ড প্রভাব ফেলেছে। দিনের তুলনায় রাতে শীতের প্রকোপ আরও বেশি। শিশুরা এবং বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে সড়ক ও গ্রামীণ পথ। দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করছে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
রায়পুর গ্রামের শ্রমজীবী নারী রহিমা বেগম জানান, শীতের মধ্যে ভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্না সেরে কর্মস্থলে যেতে তার চরম কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু পেটের দায়ে তাকে কাজ করতেই হচ্ছে। অপরদিকে, সিএনজি চালক বেলাল হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে রাস্তা কিছু দেখা যাচ্ছে না, তাই দিনের বেলাতেও লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। শীতের তীব্রতার কারণে সকালবেলা যাত্রী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানিয়েছেন, জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ পরিস্থিতি দুই একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ কমাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।