সংখ্যালঘুদের উপর হামলার পেছনে ধর্মীয় উগ্রবাদের ভূমিকা নেই - ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
রাকিবুল ইসলাম তনু, জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: সোমবার ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:০৯ অপরাহ্ন
সংখ্যালঘুদের উপর হামলার পেছনে ধর্মীয় উগ্রবাদের ভূমিকা নেই - ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার যে সকল ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে কোনোটিই ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে ঘটেনি। এসব হামলার পেছনে মূলত রাজনৈতিক কারণ কাজ করেছে। তিনি জানান, ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় ৯৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার মধ্যে ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা এখনও আইনের আওতায় আসেনি, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) পটুয়াখালী ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, মসজিদের খতিব, ইমাম এবং মুয়াজ্জিনদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন হলেও বাস্তবে বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্ম পালনের অধিকার ভোগ করছে। যারা এই অধিকার ক্ষুন্ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরো বলেন, কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। দেশের বাইরে কিছু দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে, অথচ তাদের নিজস্ব দেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবিচার চলছে, এমনকি উপসনালয়ে শিবলিঙ্গ আবিষ্কৃত হচ্ছে। 


ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আরও বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ হলে একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সমাজের উন্নয়নে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খতিবদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাদের ভালো অবস্থানে থাকতে হবে, না হলে পুরো সমাজের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদ কর্মীদের বেতন কাঠামো উন্নয়ন এবং দুইটি উৎসব বোনাস প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মসজিদের জন্যও একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। 


এই সভায় জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উপ-পরিচালক আসমা আক্তার সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন, পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ এবং জেলার দুইশত মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।