নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ৯৬০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গত রোববার রাতে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চরহাজারী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), বান্দরবান জেলার লামা থানার মন্ডল এলাকার বাসিন্দা জমির হোসেন (৬৮) এবং কক্সবাজারের উখিয়া থানার বাসিন্দা ওসমান হোসেন (২৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমির হোসেন ও ওসমান হোসেন মাদক সরবরাহ করে আসছিলেন কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে জাহাঙ্গীর নিজেকে একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। তার কাছে ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগে ওই দুই মাদক ব্যবসায়ী তাকে সাহায্য করতেন।
রোববার রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৯৬০ পিস ইয়াবাসহ তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ তার দুই সহযোগীকে মাদকসহ হাতেনাতে ধরা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার জানান, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে তিনি জানান।
এই ঘটনার পর থেকে নোয়াখালীর স্থানীয় রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতা এবং মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, রাজনৈতিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা চালানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও রাজনীতির মধ্যে এই সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে মাদক কারবারিরা কোনোভাবেই রাজনৈতিক আশ্রয় না পায়।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।