ভারতের শিলংয়ে একটি ধর্ষণ মামলায় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪ আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ। রোববার (৮ ডিসেম্বর ২০২৪) কলকাতার নিউটাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নেতারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। এই ঘটনায় আরও দুই পলাতক আসামী রয়েছেন, তারা হলেন- সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাশ মিটু।
শিলং পুলিশ জানায়, সিলেট থেকে পালিয়ে আসা এই নেতারা শিলংয়ে অবস্থান করছিলেন, এবং সেখানে একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিম বাদী হয়ে শিলং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
কলকাতা পুলিশের সহায়তায় শিলং পুলিশ রোববার দুপুরে নিউটাউন থেকে তাদের আটক করে এবং রাতেই শিলংয়ে নিয়ে যায়। শিলং পুলিশের সূত্র জানায়, এই ধর্ষণ মামলায় জড়িত ছিলেন মূলত সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন ও সদস্য জুয়েল। তবে, অন্যরা একে অপরের সঙ্গে একটি ফ্ল্যাটে অবস্থান করায় তাদেরকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে।
এদিকে, শিলং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর, আওয়ামী লীগ নেতাদের মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় নেতারা তদবির শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল মুক্তির জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
কলকাতায় বসবাসরত সিলেট আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে, এক সূত্র জানায়, মামলায় নাম না থাকা সত্ত্বেও সুনামগঞ্জের এক ইউপি চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে যে, ধর্ষণ মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।