রাজবাড়ীর সজ্জনকান্দা এলাকায় একটি দুর্গাপূজা মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, মন্দিরে দুর্গা, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী—পাঁচটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশ ভাঙচুর করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে এই ঘটনার কারণে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন জানান, ভাঙচুরের ঘটনা সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যেকোনো সময় ঘটে। তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।”
এদিকে, সন্ধ্যার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই দোষীদের বিচার এবং সঠিক তদন্তের দাবি জানান। মন্দিরের আয়োজকদের একজন কুঞ্জন কান্তি সরকার জানান, পূজার জন্য অস্থায়ীভাবে মন্দির তৈরি করা হয়েছে এবং মন্দিরের পেছনে বাস মালিক সমিতির কার্যালয় রয়েছে। তিনি বলেন, “রাতে মন্দিরে পাহারার ব্যবস্থা ছিল, তবে সকালে পাহারাদার চলে যায়।”
বেলা ১১টার দিকে ডেকোরেটার শ্রমিক মন্দিরে এসে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করলে প্রতিমার ভাঙচুরের বিষয়টি প্রথমে তার নজরে আসে। তিনি এ ব্যাপারে মন্দিরের ডেকোরেশন মিস্ত্রি লোকমানকে জানালে লোকমান প্রতিমাগুলোর ক্ষতি দেখে হতাশ হন।
সজ্জনকান্দা সার্বজনীন দুর্গা মণ্ডপের সভাপতি সাধন চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের সাথে কিছু না বললেও, পুলিশ সুপার নিশ্চিত করেছেন যে, “প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, শহরের প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও, এই মন্দিরে আজকের ঘটনা ঘটার পর সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে এবং সকলেই দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।